একজন বললেন: আমি প্র্যাকটিসিং মুসলিম। কিন্তু নির্জনে প্রাকটিসিং হওয়াটা খুব কঠিন।
অধিকাংশ মুসলিমই ভুগছে এই অভিন্ন সমস্যায়। বলা হয়: সাধু হয়ো না মানুষের সামনে। আর শয়তান হয়ো না আড়ালে যেয়ে। ইব্ন আল-ক়ায়্যিম বলেছেন, “যাঁরা আল্লাহকে চেনেন তাঁদের সবার মত হচ্ছে: মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে একাকী যে পাপ করা হয়। আর লক্ষ্যে অবিচল থাকার মূল কারণ হচ্ছে নিভৃতে আল্লাহর ‘ইবাদাহ করা।”
আমাদের অনেকেই শয়তানকে খারাপ বলেন সবার সামনে; কিন্তু আড়ালে তাকেই বানান সবচেয়ে ভালো বন্ধু। কী সাংঘাতিক!
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “আমি নিশ্চিতভাবেই জানি, পুনরুত্থানের দিনে আমার উম্মাহর এক দল লোক হাজির হবে তিহামাহ পাহাড় পরিমাণ ভালো কাজ সাথে নিয়ে। কিন্তু আল্লাহ সেগুলোকে করে দেবেন বিক্ষিপ্ত ধূলিকণা।”
হ়াদীস়টির বর্ণনাকারী স়াওবান বললেন, “এদের সম্পর্কে আমাদের আরও জানান, রাসূলুল্লাহ ﷺ, আরও বলুন। যাতে অজান্তে আমরা তাদের মতো না হই।”
তিনি বললেন, “ওরা তোমাদেরই ভাই, তোমাদেরই জ্ঞাতিগোষ্ঠী। রাতে ওরা ‘ইবাদাত করে তোমাদের মতোই। কিন্তু ওরা যখন একাকী থাকে তখন ওরা আল্লাহর বেধে দেওয়া সীমারেখা লঙ্ঘন করে।”
আপনার ব্যাপারে অন্যে কী বলল, সেটা নিয়ে তুষ্ট হওয়ার মতো বোকামি করবেন না। সামনে কী করছেন তারা শুধু সেটাই জানে, আড়ালের খবর তারা রাখে না। আল্লাহ আর আপনার মধ্যে যা আছে সেটাকে ঠিক করুন; এটাই হিসেব করা হবে বিচারের দিনে।