পহেলা বৈশাখের দিন নারী শ্লীলতার ঘটনা প্রথমে বিশ্বাস হয়নি, পরে যখন কিছু জাতীয় দৈনিকে পড়লাম তখন বিশ্বাস হয়েছে। বিশ্বাস না হওয়ার আরেকটি কারণ ঘটনাটি ঘটেছে প্রকাশ্যে তা ও আবার এক দুই জনের সাথে নয় ১৫-২০ জনের সাথে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সামনে।
প্রশ্ন, এমনটা কেন হলো ?
শুধুই কি নারীর দোষ? পুরুষের কি কোনো দোষ নেই এখানে? নারীকেই কি শুধু পর্দা করতে হবে আর পুরুষের কিছু করতে হবে না?
ইসলামী অনুশাসনে প্রত্যেক নারী-পুরুষ সবার জন্য পর্দা করা ফরজ, কেননা পর্দা অশ্লীলতা ও বেহায়াপনার পথ বন্ধ করে সমাজকে কলুষমুক্ত রাখে। নারীজাতি যেহেতু অন্যতম মূল্যবান নেয়ামত তাই তাদের সবচেয়ে মূল্যবান স্থানে একটা কিছুর আড়ালে রাখতে হয়। মানুষ সাধারণত পর্দা নিয়ে আলোচনা করে নারীদের ক্ষেত্রে। অথচ জ্যোতীর্ময় কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা নারীর পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন।
সূরা নূরে বলা হয়েছে,
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। (২৪:৩০)
যে মুহুর্তে কোনো পুরুষ একজন নারীর দিকে তাকাবে- লজ্জাকর অশ্লীল চিন্তা তার মনে এসে যেতে পারে। কাজেই তার দৃষ্টি অবনত রাখাই তার জন্য কল্যাণকর।
সুতরাং পর্দা শুধু নারীর জন্য নয়, পুরুষের জন্যও। পর্দার মাধ্যমে নারী পায় তার সঠিক অধিকার, পর্দাশীল নারী সর্বত্র সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হন আর পুরুষ পর্দার মাধ্যমে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মানে অধিষ্ঠিত করে নিজেকে একজন সত্যিকারের মুমিন হিসেবে আল্লাহর কাছে প্রিয় হোন।
সংকলন- রাকিবুর রহমান খান