“মৃত্যুর পরে আপনার কি হবে?”
-এই প্রশ্নটা করা হয়েছিল, বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক আইজ্যাক আসিমভকে তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস আগে। তিনি উত্তর দিলেন, “কিছুই হবে না, আমি মরে গেলে কোন কিছুই হবে না। আমার লাশ পচে মাটিতে পরিণত হবে।”
তার এত জ্ঞান, তার লেখা ভুরি ভুরি বই, তার বুদ্ধিবৃত্তি, তার সম্পদ আর খ্যাতি থাকা সত্ত্বেও তার সাথে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগের আরবের নিরক্ষর, অজ্ঞ কাফিরদের কার্যত কোন পার্থক্য নেই। তার তথাকথিত জ্ঞান কোনই কাজে আসেনি, কারণ আমরা একটা মানুষকে যতই বুদ্ধিমান বা জ্ঞানী মনে করি না কেন, তার বুদ্ধিমত্তা প্রকৃতপক্ষে শূণ্যের কোঠায়, যদি সে আখিরাতে বিশ্বাস না করে।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এ প্রসঙ্গে বলছেন,
“তারা আরও বলবে, হায় যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না।” (সূরা মূলক, আয়াত ১০)
দেখুন তারা বলছে, “যদি আমরা বুদ্ধি খাটাতাম, আক্বল খাটাতাম… ”।
শেষ পর্যন্ত যদি জাহান্নামের আগুনেই পুড়তে হয়, তাহলে আমাদের এত এত মেধা, বুদ্ধিমত্তা জ্ঞান-বিজ্ঞানের কি মূল্য থাকল? অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেছেন কেন আমাদেরকে মেধা দিয়েছেন,
“তিনি (মহান আল্লাহ) তোমাদেরকে দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু ও
অন্তঃকরণ। (তবে আফসোস!) তোমাদের মধ্যে সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।” (সূরা আস-সাজদা, আয়াত ৯)।
অর্থাৎ, আমাদের বিবেক এজন্য দেয়া হয়েছে যেন আমরা আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। আল্লাহ আমাদেরকে চোখ এবং কান দিয়েছেন যেন আমরা সেগুলো দিয়ে দেখি, শুনি, জানি। মন দিয়েছেন যেন আমরা চিন্তা করতে পারি এবং যে কেউ এই তিনটি নিয়ামতের সঠিক ব্যবহার করবে, সে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করবে এবং ঈমান আনবে।
সংকলন- রাকিব খান