যখন কোন ইসলামপন্থী(?) মেয়েকে বলতে শুনি,
–আমার বয়ফ্রেন্ডটা খুব ধার্মিক। সে নিয়মিত নামাজ পড়ে, কুরআন পড়ে। আই অ্যামরিয়েলি প্রাউড অব হিম! তখন আমি বলি, -যে ছেলের একটা গার্লফ্রেন্ড থাকে। সে কি করে ধার্মিক হয়? যখন কোন ইসলামপন্থী(?) ছেলেকে বলতে শুনি, –আমার গার্লফ্রেন্ডটা ভীষণ ভালো! সে হিজাব পরে পর্দা পালন করে। সী ইজ রেয়েলি নাইস ওয়ান! তখন আমি বলি, -একটা হিজাব পরিহিতা পর্দাশীল মেয়ের আবার বয়ফ্রেন্ড থাকে কি করে? যখন কোন একজনকে বলতে শুনি, –শরীরের পোশাকটা জরুরি নয়। মনের পর্দাই বড় পর্দা।
তখন আমি বিষ্ময়ে হতবাক হই! নিজেদের সুবিদার্থে এরা কিভাবে ইসলামকে নিজের মত করে বানিয়ে নিচ্ছে!!!
প্রেমের নামে নারী পুরুষের অবাদ মেলামেশাকে ইসলাম সমর্থন করে না। যদি আপনি এইরোগে আক্রান্ত হন, তাহলে নিজেকে ইসলামপন্থী বলে পরিচয় দেবেন না। যদি মনের পর্দাই আসল পর্দা হতো, তাহলে আল্লাহ তা’আলা কখনোই পর্দার বিধান দিতেন না।
ইসলাম তো মামার বাড়ীর আব্দার নয় যে, যার যেভাবে ইচ্ছা কাটছাট করে পালন করবেন! মনে রাখবেন, ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র জীবন বিধান। এটাকে নিজের মত ব্যাখ্যা কিংবা কাটছাট করে পালন করে নিজেকে ইসলামপন্থী দাবি করার অধিকার আমাদের কারো নেই।
আল্লাহ আমাদেরকে পরিপূর্ণ ইসলাম বোঝার ও পালন করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)