আগে একটা সময় ছিল যখন কেউ সিগারেট খাইতো তখন অনেক লুকিয়ে খেত। শুধু লুকিয়ে নয়, মুখের গন্ধ নাই করার জন্য অনেক কিছুও খেত। যেমন পান ভালো করে মিষ্ঠি জর্দা দিয়ে কিংবা বিভিন্ন রকমের চকলেট।
আমার সাথে অনেকেই গল্প করেছেন- তারা যখন ছোট ছিলেন তখন এক গ্রাম নয়, দুই গ্রাম নয়, তিন গ্রাম পার হয়ে অনেক দুরে অন্য একটি গ্রামে গিয়ে সিগারেট টানতেন। তাও সারা দিনে মাত্র একটা। পাচ মিনেটের একটা সিগারেট টানতে বরাবর দুই ঘন্টা সময় নষ্ঠ করতেন। তারপর কোনো এক বাজারে গিয়ে বেশি করে মিষ্ঠি জর্দা দিয়ে পান খেত। তারপর চুইংগাম কয়েকটা একসাথে নিয়ে চাবাতে চাবাতে বাড়ি ফিরতেন।
কেন তারা এত কিছু করতেন জানেন ?
একটাই কারণ, কি জানি কেউ দেখে ফেলে কি না কিংবা কেউ বুঝে ফেলে কিনা যে তারা সিগারেট খাইছেন?
এখন যুগ পাল্টাইছে। বাপে- পোলায় একসাথেই টানে। ভাইয়ে ভাইয়ে একটা সিগারেটকে শেয়ার করে। কোনো সমস্যা নেই কারো।
এ জন্যই খবরের পাতা খুললে দেখা যায় বাবার হাতে ছেলে খুন কিংবা ছেলের হাতে বাবা।
আর হা অনেকেই এই যুগকে বলেন মর্ডান। বর্তমানে সিগারেট না খেলে তো আধুনিকই হওয়া যায় না।
ধিক্কার এই তথাকথিত আধুনিকতার। থু থু দেই এই আধুনিকতাকে।
লিখেছেন- রাকিব খান