পবিত্র রমজান মাসে হেদায়েতের আলোকবর্তিকা কোরআনে কারিম নাজিল হয়েছে। এ মাস শুধু সিয়াম পালন ও তারাবির নামাজ আদায়ের মাস নয়। এ মাস একটি বিশাল বিদ্যাপীঠ। রমজান মাসে আমরা ইচ্ছে করলে প্রচুর নেক আমল করতে পারি। এসব নেক আমলের অন্যতম একটি আমল হলো পবিত্র কোরআনে কারিম অর্থসহ বুঝে বুঝে খতম করা ও কিংবা তেলাওয়াত করা।
হজরত নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সিয়াম ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে…।’
হাদিসে এসেছে, রমজানে জিবরাইল (আ.) হজরত রাসূলে করিম (সা.) কে কোরআন পাঠ করে শোনাতেন। আর রাসূলুল্লাহ (সা.) পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জিবরাইলের কাছে তুলে ধরতেন। কোরআন তেলাওয়াত হলো সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির। সিয়াম পালনকারী এ জিকির থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না।
তাই যারা চলতি রমজানে কোরআন খতম কিংবা কোরআন তেলাওয়াত করতে চান, তারা প্রতিদিন কিভাবে এবং কতটুকু করে পড়লে এ মাসে কোরআন পাঠ শেষ করতে পারবেন, সে বিষয়ে একটি সুন্দর কৌশল ও পরামর্শ হলো—
প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা করে প্রত্যেক নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করুন। প্রত্যেক ৫ ওয়াক্ত নামাজের শেষে ৪ পৃষ্ঠা করে তেলাওয়াত করুন, ফলে দৈনিক আপনার তেলাওয়াত হবে ২০ পৃষ্ঠা অর্থাৎ এক পারা। এতে খুব বেশি সময় খরচ হবে না। এভাবে দিনে এক পারা করে তেলাওয়াত করলে পুরো রমজানে ৩০ পারা কোরআন শরিফ তেলাওয়াত খুব সহজেই হয়ে যাবে।