সন্তানেরা যখন বাবা মা’র কথা শুনে না তখন বাবা মা’য়েরা একরকম অসহায়ত্ব অনুভব করেন অর্থাত তারা একরকম অসহায় হয়ে যান। এরকম অনেক অসহায় বাবা মা’দের সাথে আমার পরিচয় আছে।
তাদের এই অসহায়ত্বের পিছনে কারণ কি ?
কারনটা খুজতে গেলে আমি প্রথমেই সেই সব বাবা মা’দের দোষ দিব যারা তাদের সন্তানের ব্যাপারে বেখবর। সন্তান পালনে ইসলামকে গুরুত্ব না দিয়ে তারা সমাজকে বেশি গুরুত্ব দেন। ছেলে মেয়েদের প্রতি অধিক শাসন কিংবা অধিক আদর এই দুটিই অধিকাংশ সময়ে দায়ী। এই করতে গিয়ে অনেকেই শাসনের বাঁধনটি এত শক্ত করে ফেলেন কিংবা অতিরিক্ত আদরে মাথায় তুলেন যে, সন্তান কখন বাবা মার বিপরীতে দাঁড়িয়ে যায় তারা বুঝতেই পারেন না।
সন্তানদের উপর বাবা মা’য়ের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। বাবা মা যদি সেই সব দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিকভাবে আদায় করেন তাহলে আমার বিশ্বাস সন্তানরা অবশ্যই তাদের বাবা মা’য়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত্য প্রকাশ করবে।
তাই সন্তানদের আচরণ শিক্ষা দেয়া পিতামাতার উপর দায়িত্ব ও কর্তব্যের অন্তর্ভূক্ত। লুকমান আলাইহিস সালামও তার সন্তানকে আদব শিক্ষা দিয়েছিলেন। সীমিত শাসন করে সন্তানদেরকে স্নেহ করা এবং তাদেরকে আন্তরিকভাবে ভালবাসতে হবে। আর সর্বপরি দ্বীনি শিক্ষা দিতে হবে। সন্তানকে দীনি ইলম শিক্ষা দেয়া ফরজ করা হয়েছে। কারণ দ্বীনি ইলম না জানা থাকলে সে বিভ্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
হাদীসে এসেছে-
আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মুসলিমের উপর জ্ঞানার্জন করা ফরয। [সুনান ইবন মাজাহ: ২২৪]
একজন ছেলে কিংবা মেয়ে যদি দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করে তাহলে সেই ছেলে কিংবা মেয়ে কোনো অবস্থাতেই তার বাবা মা’য়ের প্রতি অশ্রদ্ধা, অসম্মান, কথা না শুনে এবং খারাপ আচরণ করবে না।
সংকলন- রাকিব খান