ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদের এই আনন্দ ধনী-গরীব সকেলর মাঝে বয়ে আনুক খুশির বার্তা। আসুন আমরা সবাই গরিব দুঃখি অসহায় মানুষের সাথে ঈদ উদযাপন করি, সঠিকভাবে ঈদ উল আযহাকে উপভোগ করতে চেষ্টা করি। ঈদ উল আযহার ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সারা দুনিয়ার সকল মানব কুল। আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই ঈদ। তাই ভোগ নয়; ত্যাগই হোক এই ঈদের অন্যতম ... Read More »
Author Archives: কিতাবুল ইলম
মঙ্গল শোভাযাত্রা নামক শিরকি সংস্কৃতিকে না বলুন।
সব অশুভকে তুচ্ছ করে বিতাড়নের অঙ্গীকারে সকলের মঙ্গল কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা !! কথা হচ্ছে অশুভ শক্তিটাই বা কি আর সেটা বিতারনের উপায় কি ?? পহেলা বৈশাখ আমাদের বাংলা সালের প্রথম দিন। ঐতিয্যগতভাবেই এদিনটি আমাদের জাতীয় উতসবের দিন। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। ... Read More »
বর্ষবরণে আপত্তি নেই, আপত্তি অপসংস্কৃতি ও হিন্দুয়ামী সংস্কৃতি চর্চাতে।
পহেলা বৈশাখ আমাদের বাংলা সালের প্রথম দিন। ঐতিয্যগত ভাবেই এ দিনটি আমাদের জাতীয় উতসবের দিন। আমরা জাতিগত উৎসব পহেলা বৈশাখ ঐতিয্যগত ধারার মাধ্যমে উদযাপন করবো। কোন নব্য আবিষ্কৃত সংস্কৃতি, বিজাতীয় মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে নিজে দূরে থাকবো, মুসলিম ভাই-বোনদের বিরত রাখবো। আমরা বাঙ্গালী এবং বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে আছি। তবে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নির্লজ্জতার সাথে নেই। পহেলা বৈশাখ পালন সরাসরি হারাম বলে দেওয়ার ... Read More »
মহানবী (স.) এর জন্ম এবং এ সম্পর্কিত কিছু কথা
হযরত মুহাম্মাদ মোস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি) হেজাজে অবস্থিত (বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থিত) পবিত্র নগরী মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি এমতাবস্থায় এ পৃথিবীর বুকে পা রাখেন যখন তত্কালীন বেদুঈন আরবদের অধিকাংশ ছিল মূর্তি পূজারী এবং মহানবী (স.) এর বংশধরদের মধ্য হতে মুষ্ঠিমেয় কিছু লোক শুধুমাত্র ইব্রাহিম (আ.) এর আনীত শরিয়ত (হানিফ)-এর অনুসারী ছিলেন। তার জন্মের সময় হতে ২০০ বছর পূর্ব ... Read More »
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সা:) এর উপর দলিল ভিত্তিক লেখার কিছু লিংক
১. ঈদ এর সংজ্ঞা এবং বছরে আমাদের জন্য কয়টি ঈদ ২. আল কুর’আনের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা) ৩. আল- হাদীসের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা) ৪. প্রশ্নঃ মহানবী (সঃ) এর জন্ম তারিখ কবে? ৫. রাসুল (সা:) এর চাচা হযরত আব্বাস (রা:) এর মীলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন। ৬. ১ম আপত্তিঃ মিলাদ মাহফিল রাসুল (সঃ) এর সময় ছিল না তাই এটা বেদাত ... Read More »
(৩য় পর্ব) প্রখ্যাত আলেমগণের দৃষ্টিতে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সা:)
১২. ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বপ্রথম মোহাদ্দিস হযরত শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী রহমাতুল্লাহে আলাইহি বলেন- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রাত্রকে ঈদ হিসেবে পালন করে, তার উপর আল্লাহ তায়ালা রহমত নাযিল করেন। আর যার মনে হিংসা এবং [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দুশমনির] রোগ রয়েছে, তার ঐ (নবী বিদ্বেষী) রোগ আরও শক্ত আকার ধারণ করে”। [মা সাবাতা বিসসুন্নাহ (উর্দু) ... Read More »
(২য় পর্ব) প্রখ্যাত আলেমগণের দৃষ্টিতে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সা:)
৮. বুখারী শরীফের ব্যাখাকার বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দিস আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি (মৃত্যুঃ ৯২৩ হিজরী) বলেন- “যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শুভাগমনের মোবারক মাসের রাতসমূহকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন। আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে (নবী বিদ্বেষী) রোগ রয়েছে। তাদের ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ ... Read More »
(১ম পর্ব) প্রখ্যাত আলেমগণের দৃষ্টিতে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সা:)
১. প্রসিদ্ধ তাবেঈ হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন قال حسن البصري رضي الله تعالی عنه وددت لو کان لی مثل جبل احد ذھبا فانفقته علی قراءة مولد النبي صلی الله علیه وسلم অর্থাৎ- যদি আমার উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকত তাহলে আমি তা রাসূলে পাক (দঃ) এর ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাহফিলে খরচ করতাম। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, ... Read More »
প্রখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদদের লিখনিতে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন
১. ৭ম শতকের ইতিহাসবিদ শায়েখ আবু আল আব্বাস আল আযাফি এবং আবু আল কাসিম আল আযাফি ( সার্জারির জনক ) তাঁদের কিতাব আল দুরর আল মুনাজ্জাম কিতাবে লিখেন – ” মক্কা শরিফে ঈদে মিলাদুননবির দিন ধার্মিক ওমরাহ হজ্জ্বযাত্রী এবং পর্যটকেরা দেখতেন যে সকল ধরনের কার্য্যক্রম বন্ধ এমনকি ক্রয় -বিক্রয় হতনা ,তাঁদের ব্যতিত যারা সম্মানিত জন্মদিন স্থান দেখতেন এবং সেখানে জড় ... Read More »
প্রশ্নঃ মহানবী (সঃ) এর জন্ম তারিখ কবে??
প্রশ্নঃ মহানবী (সঃ) এর জন্ম তারিখ কবে?? উত্তরঃ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি এর জন্ম তারিখ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সহীহ সনদে যেই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে তা হল– হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৩৫ হিজরি) যেটা বিশুদ্ধ সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন- হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা (রহঃ) থেকে বর্ননা করেছেন যে, হযরত জাবির ... Read More »
দুঃখ নয়, বরং খুশি প্রকাশ করার মাধ্যমে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালন করুন
পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরোধীরা অস্বীকার করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে একটা প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে থাকে। তারা বলে থাকে, “নবীজীর ইন্তিকালের দিবস হচ্ছে দুঃখের দিন, আর দুঃখের দিনে খুশি প্রকাশ করাটা অন্যায়!” আসুন আমরা উক্ত বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাবটা লক্ষ্য করি– শোক দিবস পালন করা সম্পূর্ণ নিষেধ। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- امرنا ان لا نحد علي ميت ... Read More »
মহানবী (সা:) এর জন্মের রাতে সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলী
মহাবনী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্মের রাতে সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলী ১. মা আমেনা বলেন তার জন্মলগ্নের পরমুর্হূতেই এতটা নূর প্রকাশিত হল যার আলোতে র্পুব ও পশ্চিম প্রান্তের সব কিছু আলোকিত হয়। যার আলোতে সিরিয়ার শাহী মহল মা আমেনা দেখতে পান। [বায়হাকি, ১ম থন্ড,পৃঃ৮০ , মুসনাদে আহমদ , ৪/১২৭পৃঃ] ২. ফাতিমা বিন সুলায়মান বর্ননা করেন যে, প্রিয় নবী (ﷺ) এর ... Read More »
রাসুল (সা:) এর চাচা হযরত আব্বাস (রা:) এর মীলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন।
হযরত খুরাইম বিন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তাবুক থেকে ফেরার পর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আমি গমন করলাম অতঃপর তাঁর নিকট ইসলাম গ্রহণ করলাম। তখন আমি হযরত আব্বাস বিন আব্দিল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ, আমি আপনার প্রশংসা করতে চাই। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, বলুন। আল্লাহ যেন আপনার মুখকে দন্তহীন না করেন। অর্থাৎ আল্লাহ ... Read More »
ঈদের সালাত আদায় করার নিয়ম:
ঈদের সালাত বত্সরে মাত্র দু’বার আসার কারণে আমরা অনেকেই নামাজে ভুল করে ফেলি। তাই ঈদের সালাতে যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া ভালো কিভাবে ঈদের সালাত আদায় করতে হয়। ঈদের সালাত আমরা সেভাবেই আদায় করি যেভাবে আমরা সাধারন দুই রাকাত সালাত আদায় করি। ঈদের সালাতের বিস্তারিত সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে দেয়া হলঃ ইমাম সাহেব আযান বা ইকামাত ছাড়াই তাকবির আল-তাহরিমাহ দিয়ে সালাত শুরু ... Read More »
তাকবীরে তাশরীক
পবিত্র যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর যে তাকবীর পাঠ করা হয় তাকেই তাকবীরে তাশরীক বলে। জামায়াতে বা একাকী, মুসাফির অথবা মুকীম, শহর অথবা গ্রামে প্রত্যেককেই প্রতি ফরয নামাযের পর উক্ত তাকবীর পাঠ করতে হবে। “দুররুল মুখতার” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “তাকবীরে তাশরীক” একবার বলা ওয়াজিব, তবে যদি (কেউ) একাধিকবার ... Read More »