কুরবানীর পশুর বয়সসীমা মাসআলা : ১৪. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ... Read More »
আল- হাদীস
কুরবানী সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় মাস’য়ালা। (১ম পর্ব)
কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫ ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি ... Read More »
জাল হাদীস ও জয়ীফ হাদীসের মধ্যে পার্থক্য এবং আহলে- হাদীস ফেতনা।
জাল হাদীস আর জয়ীফ হাদীসের মধ্যে পার্থক্য: লা মাজহাবী কথিত আহলে হাদীসরা মানুষের মগজে এই কথাটা ঢুকিইয়ে দিতে চায় যে, জয়ীফ হাদীস এটা কোন হাদীসই না। জয়ীফ হাদীস জাল হাদীসের মতই। তারা জয়ীফ হাদীসগুলো কে জাল হাদীস বলে অসংখ্য হাদীস কে অস্বীকার করছে। অথচ জাল আর জয়ীফ হাদীসের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। হাদীস সহীহ হয়, জয়ীফ হয়, হাসান হয়, সনদের ... Read More »
মুহরিম (হজ্জের জন্য ইহরামকারী) ব্যক্তির পোশাক-পরিচ্ছদ
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করল,”মুহরিম ব্যক্তি কি ধরনের পোশাক পরিধান করবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ মুহরিম ব্যক্তি জামা,পাগড়ী,পাজামা,টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি জুতা সংগ্রহ করতে না পারে তবে সে মোজা পরিধান করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তাকে পায়ের গোছার নীচ থেকে মোজার ওপরের অংশ ... Read More »
হজ্জের মীকাতসমূহের (ইহরাম বাঁধার স্থান) বর্ণনা
আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা,সিরিয়ার অধিবাসীদের জন্য জুহফা,নজদের অধিবাসীদের জন্য কারন এবং ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থানকে (হজ্জ উমরার জন্য) মীকাত বা ইহরাম বাঁধার স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, উল্লেখিত স্থানগুলো এই লোকদের জন্য যেমন ইহরামের স্থান অনুরূপভাবে যেসব লোক হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে এইসব ... Read More »
মদীনা শরীফ জিয়ারতের ফজিলত
পবিত্র হজ্ব উপলক্ষে নবীর দেশে আগমনকারী একজন মুমিনের কর্তব্য হলো আগে বা পরে অন্তত একবার প্রিয় নবীর শেষ- শয্যার পাশে গিয়ে তাঁকে সম্বোধন করে সালাত ও সালাম পেশ করা। তাঁর সাথে সাক্ষাত করা হাজীদের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ্ বা বিশেষ গুরুত্ব আরোপিত একটি কাজ। এটি হাজার বছর ধরে অনুসৃত একটি ইসলামী ঐতিহ্য। মহানবী (স.) এর যিয়ারত বা দর্শন এখানে হয়ে থাকে ... Read More »
তাফসীরে ইবনে কাসীর কিতাবে হাত তুলে সম্মিলিত দোয়া করার হাদীস:
১৯৮৫ সালে কলকাতা থেকে প্রিন্টেড তাফসীরে ইবনে কাসীর এর একটি কপি নিয়ে আমরা ক’জন বসেছিলাম। সেই কিতাবের ৫৫৫ নাম্বার পৃষ্ঠায় ইবনে কাসীর নামাজের পরে হাত তুলে সম্মিলিত দোয়া করার একটি হাদিস এনেছেন। তিনি সেই হাদিসটি সহিহ বলে উল্লেখ করেছেন এবং খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা) নামাজের পরে হাত তুলে দোয়া করতেন এবং দোয়ার পরে হাত মুখের উপর মুছে দিতেন। হাত ... Read More »
ইসলামে তাবিজ-কবজ/ ঝার-ফুকের বিধান
ইসলামে কয়েক প্রকার তাবিজ জায়েজ নয়। যথা- ১-কুরআন হাদীস দ্বারা ঝাড়ফুক দেয়া ছাড়া শুধু তামা, পিতল বা লোহা দ্বারা তাবিজ বানিয়ে লটকিয়ে রাখা। অর্থাৎ শুধু এগুলো লটকানো দ্বারাই রোগমুক্ত হওয়া যাবে বিশ্বাস করে তা লটকানো নাজায়িজ। ২-এমন তাবিজ যাতে আল্লাহর নাম, কুরআনের আয়াত, দুআয়ে মাসূরা ব্যতিত শিরকী কথা লিপিবদ্ধ থাকে। ৩-তাবীজকে মুয়াসসার বিজজাত তথা তাবীজ নিজেই আরোগ্য করার ক্ষমতার অধিকারী ... Read More »
ইতিকাফ ও নাজাতের দশক
মাহে রমজানের শেষ দশক। মাগফেরাতের দশ দিন পার হয়ে এল মুক্তির সওগাত নিয়ে নাজাতের দশক। এই দশক ইতিকাফেরও দশক। ইতিকাফ হচ্ছে, আল্লাহর নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের একটি অনন্য সুযোগ। এই দশ দিনেই আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে মসজিদে পালন করা হয় ইতিকাফ। রোজাদার মুসলিমরা ইতিকাফ আদায় করে বিশেষ ফজিলত ও পুণ্য অর্জনে সচেষ্ট থাকেন। মাহে রমজানের ... Read More »
কখন কি বলা সুন্নাত ?
১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬) ২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা । -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫) ৩. কারো হাঁচি আসলে ”আলহামদু লিল্লাহী ‘আলা ... Read More »
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহে তাহরীমী।
মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহে তাহরীমী। হাদীস শারীফের কোথাও উল্লেখ নেই যে মহিলাদের জুময়া, ঈদ ও জামায়াতে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাগিদ করা হয়েছে। তবে ইসলামের প্রথম যুগে মহিলারা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতেন। প্রথম যুগে মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ আছে- ইমাম তাহাবী(রঃ) বলেন “মহিলাদের ইসলামের প্রথম যুগে জামায়াতের উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রদান করার ... Read More »
বদরের যুদ্ধ ও আল্লাহর সাহায্য (১৭ রমজানঃ বদর দিবস)
ইতিহাসে যতগুলো যুদ্ধ মুসলমানদের সাথে বিভিন্ন সম্প্রদায় বা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে কিংবা বিধর্মীদের সাথে সংঘটিত হয়েছে, তার মধ্যে বদরের যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের জন্য অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বদরের যুদ্ধের তাৎপর্য ছিল ঐতিহাসিক। বদরের যুদ্ধ ছিল ইতিহাস নির্ধারণকারী একটি যুদ্ধ। যদি বদরের যুদ্ধে মুসলমানগণ পরাজিত হতেন তাহলে দ্বীন ইসলামের ভাগ্যে কী ছিল কিংবা মহান আল্লাহ্ তা’য়ালার নাম ডাকার মতো কোনো লোক এই পৃথিবীতে ... Read More »
সহজ দশটি আযকার (যিকির) যার সাওয়াব অনেক বেশি
(১) প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয় ।[সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩] (২) আলহামদুলিল্লাহ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৩) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৪) সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় ... Read More »
জান্নাত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উম্মতের মধ্য মধ্য থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।- [আহমদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- আবু ওমামা (রা.)] ২) যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। [বায়হাকি- আসমা (রা.)] ৩) জান্নাতে জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে ... Read More »
রোজা ভঙ্গের কারণ ও রোজার মাকরুহ সমূহ
রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহঃ ১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে। ২. স্ত্রী সহবাস করলে । ৩. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)। ৪. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে। ৫. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে। ৬. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে । ৭. ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ... Read More »