রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক ফরজ নামাযের শেষে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ঐগুলি পড়ে বা কাজে লাগায় সে কখনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় না ।
[সহীহ মুসলিম, ১২৩৭]
১) নামায শেষে ১বার উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবার এবং ৩ বার ইস্তিগফার করা। (‘আসতাগফিরুল্লাহ্’ ৩ বার বলা)
[মুসলিম, ১২২২]
২) “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – হে আল্লাহ্ ! তুমিই শান্তি, তোমার থেকেই আসে শান্তি । বরকতময় তুমি হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক ।
[মুসলিম, ১২২২]
৩) সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার) । আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার) । আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) । লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর (১ বার) ।
[মুসলিম, ১২৪০]
4) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া।
[নাসাঈ]
রাসূলুল্লাহ (সা) মুআয বিন জাবালকে বলেছেন, “তুমি অবশ্যই প্রত্যেক নামাযের পর বলবেঃ আল্লাহুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা ( হে আল্লাহ! তোমার স্বরন, কৃতজ্ঞতা এবং সুন্দর উপাসনা করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর )”।
[সুনানু নাসায়ী ,আবু দাউদ ]
এছাড়াও বিভিন্ন দোয়া আছে-
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর; লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ (উঁচুস্বরে)।
[বায়হাকি]
আল্লা-হুম্মা আ’ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা । আল্লা-হুম্মা লা মা-নে’আ লেমা আ’ত্বায়তাঅলা মু’ত্বিয়া লেমা মানা’তা অলা ইয়ান্ফা’উ যাল জাদ্দে মিন্কাল জাদ্দু’
[মুসলিম, ১২২৬, ১২৩০]
এখানে মাত্র কয়েকটি দোয়া উল্লেখ করা হলো। এছাড়াও অনেক দোয়া আছে যা আপনারা হাদিসের গ্রন্থ গুলিতে পাবেন। আল্লাহ্ আমাদেরকে এসব দোয়ার উপর আমল করার তৌফিক দিন।