১লা মে, মে দিবস ?????
কিসের আবার মে দিবস ?
আপনারা কি বিশ্বনবী (সা) উনার হাদিস জানেন না ?
হাদীছ শরীফ উনার ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘শ্রমিকের পারিশ্রমিক তার ঘাম শুকানোর আগেই দিয়ে দাও।’ (ইবনে মাযাহ শরীফ )
আরও ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘এরা (শ্রমিকরা) তোমাদের ভাই, আল্লাহ পাক তিনি এদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। অতএব আল্লাহ পাক যে ব্যক্তিকে তার অধীন করে দিয়েছেন, তার উচিত সে যা খাবে তাকেও তা খাওয়াবে, সে যা পরবে তাকেও তা পরাবে, আর যে কাজ তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে কাজের জন্য তাকে কষ্ট দেবে না। আর যদি কষ্ট হয় তাতে নিজেও তাকে সাহায্য করবে।’ (আবু দাউদ শরীফ)
তিনি আরও ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমার যে পরিমাণ কাজ অনায়াসে করতে পারবে, সে পরিমাণ কাজই তোমরা (তোমাদের অধীনস্থদের জন্য) ব্যবস্থা করবে ।’ (নাসাঈ শরীফ)
বর্তমান বিশ্বে শ্রমিকের অধিকার আদায়ের মাধ্যম হিসেবে আন্দোলনকে বেছে নেয়া হয়েছে, কিন্তু আন্দোলনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে অধিকার কিছু আদায় করলেও স্থায়ীভাবে সম্ভব নয়। শ্রমিক-মালিকের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা একমাত্র ইসলাম উনার আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই সম্ভব। শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষ যদি ইসলাম উনার প্রদর্শিত নীতিমালা অনুসরণ করে তাহলে শ্রমিকরা দাবি আদায়ের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করবে না, মালিকদেরও শোষণ করার মানসিকতা থাকবে না। কোনও কথিত দিবসের প্রয়োজন হবে না। উভয়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং একে-অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
মালিক-শ্রমিক থাকবে নামে মাত্র। সবাই হবে ভাই ভাই। আর এর মাধ্যমেই সমাজে বা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
একমাত্র ইসলামের আদর্শেই শ্রমিকদের অধিকার সুনিশ্চিত হয়।