২য় আপত্তিঃ সৌদিআরবে যেহেতু ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত হয় না তাই এটা ভুল। এটা একটি ভারতীয় বিষয়।
২য় আপত্তির জবাবঃ এটা খুবই দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে দুনিয়াবী ব্যাপারে আমরা মানসিক ভাবে পশ্চিমা ঘেষা এবং ধর্মীয় ব্যাপারে আরব ঘেষা। কোরআন মজিদ নাজিল হয়েছে আরবে এবং আরবীয়রা কথা বলে আরবীতে। এজন্যে আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারাই শ্রেষ্ঠ বা ইসলামের সব। অন্যদিকে কোরআন ও হাদিসের কোথাও আল্লাহ ও রসূল (সঃ) বলেননি যে মুসলমানদের সৌদি আরব, আরব, অনারবদের অনুসরন করতে হবে। কোরআন ও হাদিসের সব জায়গায় বলা হয়েছে যে আল্লাহ ও তার নবী (সাঃ) এর সুন্নাহকে অনুসরন করা। এটাও মনে রাখতে হবে যে নবীজি (সাঃ) তার বিদায়ী ভাষণে বলেছিলেন “আরব অনারবের উপর নয়, অনারব আরবের উপর নয়। তোমরা সবাই সমান শুধুমাত্র ধর্ম ভক্তি ও ভাল কাজ ছাড়া।”
এখন সৌদি সরকার নবীজি (সাঃ) এর জন্মদিবস পালন করেনা। অথচ যদি ৮৫ বছর আগের সৌদিআরবের দিকে লক্ষ্য করা হয় তখন ছিল হিজাজ-আল-মুকাদ্দাস (অটোম্যান সাম্রাজ্য) ঐ সময় আরবীয়রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন করতো। এখন সৌদি আরব ও তার কিছু বন্ধু রাষ্ট্র ছাড়া সমগ্র আরব জাহানের মিশর, সিরিয়া, ইরাক, জর্দান, মরক্কো, লেবানন, আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়ায় একই সাথে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়। আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন তার রাসূলের (সাঃ) অনুসরন করার, কোন নির্দিষ্ট দেশকে নয়।