উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাঃ) বলেন, আকাশে মেঘ দেখা দিলে বা ঝড়ো বাতাস বইতে থাকলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখমন্ডলে ভয়ের চিহ্ন ফুটে উঠত। আমি আরজ করলাম, ‘আল্লাহর রাসূল! আকাশে মেঘ দেখলে মানুষ খুশি হয় এবং বৃষ্টির আশা করে, কিন্তু আপনার চেহারায় আমি চিন্তা ও ভয়ের ছাপ লক্ষ করি।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আয়েশা! আমি কীভাবে জানব, এই মেঘ বা বাতাস কোনো আযাব বহন করে আনেনি? এক জাতির উপর তো প্রচন্ড বাতাস দ্বারা আযাব দেওয়া হয়েছে। তেমনি আরেক জাতি আযাব দেখে বলেছিল-
هذا عارض ممطرنا এই তো মেঘ আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করবে!’
{সুনানে আবু দাউদ ২/৬৯৫}
নাবী মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকাশে মেঘ দেখলে , তাঁর চেহারা মুবারাকের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষিত হতো ! একবার ঘরে প্রবেশ করতেন আরেকবার বাহিরে এসে আকাশের পানে তাকাতেন, এই উদ্দেশ্যে যে, আল্লাহ্ এই মেঘ থেকে না জানি আবার কোন আযাব প্রেরন করেন ! আর, আজকালকার মুসলিম দের অবস্থা এই যে , আকাশে মেঘ দেখলে খুশীতে সীমাহারা ! কেউ তো খিচুড়ির আয়জনে ব্যস্ত ! কেউ হিন্দি মুভি দেখতে ব্যস্ত ! কেউ রবি ঠাকুরের বর্ষার বাদল দিনের গান শুনতে ব্যস্ত ! ইন্নালিল্লাহ !!