মিশরের বিখ্যাত পন্ডিত ডাঃ তারিক আল সুওয়াইদান কুরআনের শব্দগুলি নিয়ে গবেষণা (পরিচালনা) করেছেন।তার গবেষণা মতে যে সব বিষয়গুলো পস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত সেগুলোর সংখ্যা কোরআন মাজীদে সমান। তাঁর গবেষণার পরিসংখ্যান-সংক্রান্ত কিছু ফলাফল নিম্নে দেওয়া হচ্ছেঃ
দুনিয়া-১১৫ বার
আখেরাত-১১৫ বার
ফেরেশতা -৮৮ বার
শয়তান -৮৮ বার
জীবন – ১৪৫ বার
মরণ – ১৪৫ বার
নর -২৪ বার
নারী – ২৪ বার
জনগণ -৫০ বার
আল্লাহর প্রেরিত দূত-৫০ বার
ইবলিস -১১
ইবলিস থেকে পানা চাওয়া-১১ বার
বিপদ -৭৫ বার
ধন্যবাদ -৭৫ বার
সদকাহ -৭৩ বার
প্রশান্তি -৭৩ বার
বিপথে পরিচালিত মানুষ-১৭ বার
মৃত মানুষ -১৭ বার
মুসলমান -৪১ বার
জিহাদ -৪১ বার
যাদু -৬০ বার
ফিৎনাহ -৬০ বার
যাকাত -৩২ বার
বরকত -৩২ বার
লাভ -৫০ বার
ক্ষতি -৫০ বার
অন্তর -৪৯ বার
নূর(আলো) -৪৯ বার
জিহ্বা বা ভাষা-২৫ বার
ধর্মীয় উপদেশ বা বক্তৃতা-২৫ বার
কষ্ট বা ক্লেশ -১১৪ বার
ধৈর্য্য -১১৪ বার
মুহাম্মাদ(সাঃ) -৪ বার
শরীয়াহ – ৪ বার
ইত্যাদি।
তিনি কোরআন মাজীদে আরো খুঁজে পান-
‘মাস’ শব্দটি আছে ১২ বার
‘দিন’ শব্দটি আছে ৩৬৫ বার
এবং জল(সগর) ৩২ বার এবং স্থল ১৩ বার
জল ও স্থল সংখ্যাগুলির যোগফল ৩২+১৩= ৪৫,সাধারণ হিসাব করে দেখুন, জল হচ্ছে ৩২/৪৫ X ১০০=৭১.১১%
আর স্থল হচ্ছে ১৩/৪৫ x১০০= ২৮.৮৯%
এ ফল হচ্ছে জল ও স্থলের শতকরা হার ;যা আজ বিজ্ঞানীরা বাস্তবে পরিমাপ করেছেন।
কোরআন হল জীবন্ত মোজেজা। যতদিন মানুষ থাকবে ততদিন কোরআনের মোজেজা প্রকাশ পেতেই থাকবে কারণ এটাতো মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল-আলামীনের গ্রন্থ। যে এ গ্রন্থ থেকে হেদায়েত পেতে চাইবে সে অবশ্যই হেদায়েত পাবে, আর যে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখবে সে তো চিরকাল গোমরাহীতেই থাকবে।