হিজাব (পর্দা) আল্লাহ্ এবং তার রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য। পর্দা আল্লাহ্ এবং তার রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আনুগত্য। কেননা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য প্রতিটি নর-নারীর উপর ফরয।
‘আল্লাহ্ বলেন, ‘আল্লাহ্ এবং তার রাসুল কোনো আদেশ করলে কোনো ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করার কোনো অধিকার নেই। যে আল্লাহ্ ও তার রাসুলের আদেশ অমান্য করবে, সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৩৬)
আল্লাহ্ তাআলা নারীদেরকে পর্দার নির্দেশ দিয়ে এরশাদ করেন, ‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণত, প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, সৎপুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা নূর, আয়াত : ৩১)
মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে- মূর্খতা যুগের অনুরূপ (বেপর্দা হয়ে) নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৩৩)
আল্লাহ্ বলেন, ‘তোমরা তার পত্নীগণের নিকট থেকে কোনো কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের জন্য এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (সূরা আহযাব, আয়াত : ৫৩)
আল্লাহ্ আরও বলেন, ‘হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৫৯)
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেন, ‘নারী গোপন বস্তু।’ (তিরমিযী) অর্থাৎ তাকে ঢেকে রাখতে হবে।