১৯৮৫ সালে কলকাতা থেকে প্রিন্টেড তাফসীরে ইবনে কাসীর এর একটি কপি নিয়ে আমরা ক’জন বসেছিলাম। সেই কিতাবের ৫৫৫ নাম্বার পৃষ্ঠায় ইবনে কাসীর নামাজের পরে হাত তুলে সম্মিলিত দোয়া করার একটি হাদিস এনেছেন। তিনি সেই হাদিসটি সহিহ বলে উল্লেখ করেছেন এবং খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা) নামাজের পরে হাত তুলে দোয়া করতেন এবং দোয়ার পরে হাত মুখের উপর মুছে দিতেন।
হাত তুলে দোয়া করার অনেক হাদিস আছে কিন্তু আমি কেন তাফসীরে ইবনে কাসীরের কথা বললাম? কারণ ইবনে কাসীর হলেন লা- মাযহাবীদের একজন গুরু। লা- মাযহাবীরা প্রায়ই উনার রেফারেন্স টেনে আনে। তাছাড়া ইবনে কাসীর হলেন লা- মাযহাবীদের মহা- গুরু ইবনে তৈয়মিয়ার সরাসরি ছাত্র।
মজার ব্যাপার হলো, বর্তমানে তাফসীরে ইবনে কাসীর যে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে তাতে সেই হাদিসটি উল্লেখ নেই। অর্থাত তারা লা- মাযহাবীরা এই হাদিসটি তাফসীরে ইবনে কাসীর থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তারা তাদের গুরুর কিতাব থেকে পৃষ্ঠা চুরি করেছে।
তাই লা- মাযহাবীদের থেকে সাবধান। তারা ঠিক একইভাবে কুরআনের আয়াত, হাদীস শরীফ ও বহু পুরনো হাদীস শাস্ত্র নিয়ে অহরহ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। মানুষকে গুমরাহ করার জন্য যত ধরনের কু-কাজ প্রয়োজন তারা তার সব কিছুই করছে ঠিক যেমনি করে শয়তান সব ধরনের কু-চেষ্ঠা চালায় মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে।
সংকলন- রাকিবুর রহমান খান