মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ইন্তেকালের পরের ঘটনাঃ
মতো হয়ে গেলেন । তিনি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছেন । সাহাবীরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন :-
“যে দেশে মহানবী (সঃ) নেই, আমি সেখানে থাকবো না”।
এরপর তিনি মদীনা ছেড়ে দামস্কে চলে যান ।
কিছুদিন পরে বেলাল (রাঃ) সপ্নে দেখলেন যে মহানবী (সঃ) তাকে বলছেন,
“হে বেলাল (রাঃ) তুমি আমাকে দেখতে আসো না কেন ”?
এ সপ্ন দেখে তিনি মহানবী (সঃ) এর রওজা মুবারক দেখতে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হন ।
বেলাল (রাঃ) এর আগমনের খবরে মদীনাবাসী আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় ।
বেলাল (রাঃ) হলেন মহানবী (সঃ) এর নিযুক্ত মুয়াজ্জিন ।
মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর বেলাল (রাঃ) আর আযান দেননি ।
তার কন্ঠে আযান শুনতে সাহাবীরা ব্যাকুল হয়ে আছেন ।
তারা তাকে আযান দিতে বললে তিনি বলেন যে, তিনি পারবেন না ।
অনেক জোর করে তাকে বললে তিনি উত্তরে বলেন, “আমাকে আযান দিতে বলো না । কারণ এটা আমি পারবো না ।
আমি যখন আযান দিই তখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলার সময় আমি ঠিক থাকি । ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার সময়ও ঠিক থাকি।
‘আশহাদু অন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বলার সময় মসজিদের মিম্বারের দিকে
তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) বসে আছেন ।
কিন্তু যখন মিম্বারে তাকিয়ে তাকে দেখবো না, তখন সহ্য করতে পারবো না।”
কিন্তু তবুও সাহাবীরা জোর করলো ।
অবশেষে হাসান ও হোসাইন (রাঃ) এসে তাকে জোর করলে তিনি রাজী হন ।
তার আযান শুনে সকল সাহাবীর চোখে পানি এসে যায় ।
কিন্তু আযানের মাঝেই বেলাল (রাঃ) বেহুশ হয়ে পরে যান ।
তাকে সকলেই ধরে নিয়ে যান । পরে জ্ঞান ফিরার পর তিনি সকলকে বলেন,
“আমি যখন আযান দিচ্ছিলাম তখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলার সময় আমি ঠিক ছিলাম ।
‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার সময়ও ঠিক ছিলাম । কিন্তু ‘আশহাদুঅন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ বলার সময় মসজিদের মিম্বারের
দিকে তাকিয়ে দেখি যে মহানবী (সঃ) আজ সেখান বসে নেই ।
এ দৃশ্য আমি সহ্য করতে পারলাম না। তাই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।”