মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদে যাওয়া মাকরূহে তাহরীমী। হাদীস শারীফের কোথাও উল্লেখ নেই যে মহিলাদের জুময়া, ঈদ ও জামায়াতে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাগিদ করা হয়েছে।
তবে ইসলামের প্রথম যুগে মহিলারা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতেন। প্রথম যুগে মহিলাদের জামায়াতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ আছে-
ইমাম তাহাবী(রঃ) বলেন “মহিলাদের ইসলামের প্রথম যুগে জামায়াতের উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রদান করার কারণ হলো বেদ্বীনদের সম্মুখে মুসলমানগণের জনসংখ্যা ও জনশক্তি বৃদ্ধি করা।”(মায়ারিফে মাদানিয়াহ, শরহে তিরমিযী)
ইমাম আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “সে যুগ ফিতনা ফাসাদ থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা একেবারেই বিপরীত।”
তখন ইসলামের যা বিধি বিধান ছিল তা কেবল মাত্র একমাত্র রাসুলুল্লাহ (সা) ‘ই শিক্ষা দিতেন। প্রথম যুগে নামাজসহ সকল অনুষ্ঠানাদিতে মহিলাদের উপস্থিত হওয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, তালীম গ্রহন করা। তথা নবী (সা.) এর কাছে নিত্যনতুন আদেশ নিষেধ নাযিল হতো তা যেন পুরুষ মহিলা সকলে সমভাবে জানতে পারে সে কারণে তাদেরও উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ছিল।
বর্তমান এই ফেতনার যুগে কোনো ভাবেই কেউ দলিল দেখাতে সক্ষম হবেন না যে মহিলাদের মসজিদে নিয়ে যাওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। হযরত উমর (রা) এর সময়কালে আইন করে মহিলাদের মসজিদে যাওয়া নিষেধ করেছিলেন। আর বর্তনামে কিছু নামধারী আলিমদের দেখা যায় হযরত উমর (রা) এর উপর ফতোয়াবাজী করেন মহিলাদের মসজিদে নিতে(!?) যেই উমর (রা) সম্পর্কে নবী করীম (সা) বলেন, “আমার পরে যদি কেউ নবী হত তাহলে সে উমর হত।”
পরিশেষ এ বলা যায় যে, মুসলমানগণ ইবাদত তথা নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি কেন আদায় করে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীবের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি হাছিল করার জন্য। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে তো শরীয়তের ফায়ছালা মুতাবিক মহিলাদের নিজ ঘরে একাকি নামায পড়ার মধ্যে যেরূপ ২৫ গুণ বেশী ফযীলত রয়েছে তদ্রুপ মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ সন্তুষ্টিও রয়েছে। আর তার বিপরীত মহিলাদের জামায়াতের জন্য মসজিদ, ঈদগাহে যাওয়া নবী (সা.) এর মতের বিপরীত হওয়ার কারণে তা মহান আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব হুযুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অসন্তুষ্টির কারণ।
সংকলন- রাকিবুর রহমান খান