৩য় আপত্তিঃ ১২ই রবিউল আউয়াল মোহাম্মদ (সঃ) এর ওফাত দিবস তাই এটা শোকের দিন উৎসবের নয়।
৩য় আপত্তির জবাবঃ বিগত ১৪০০ বছর ধরে ইসলামের সকল আলেম একমত যে নবী (সাঃ) এর জন্মদিবস ১২ই রবিউল আউয়াল। এখানে নবী (সাঃ) এর ওফাত দিবস নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। কেউ বলেছেন ২য় রবিউল আউয়াল কেউবা ৩য় রবিউর আউয়াল। তাই নবী (সাঃ) এর জন্ম দিবস ওফাত দিবসের মতো নয়। অতএব ১২ই রবিউল আউয়াল শোকের দিন নয় বরং এটা উদযাপনের দিন। যদি আমরা ধরি ১২ রবিউল আউয়াল নবী (সাঃ) এর ওফাত দিবস তাহলে সকল মুসলমান জানেন যে ইসলামে শোকের জন্য তিনদিন রাখা হয়েছে। (হাদিস) কিন্তু এখন নবী (সাঃ) এর ওফাতের ১৪০০ বছরের উপর হয়েছে তাই আমরা শোকের পরিবর্তে জন্মদিবস পালন করবো।
রাসূল (সাঃ) একটি হাদিসে বলেছেন, তাঁর আগমনও রহমতের, ওফাতও রহমতের।
নবী (সাঃ) এর ওফাত এজন্যে রহমতের যে প্রতি শুক্রবার তাঁর উম্মতের আমল নামা তাঁর নিকট পেশ করা হয়। যখন তিনি তাঁর উম্মতের ভালো কিছু দেখেন তখন খুশী হন আর যখন খারাপ কিছু দেখেন তখন তাকে ক্ষমার জন্যে দোয়া করেন।
ইসলামের বিশ্বাস এই যে, আল্লাহর নবীরা জীবিত অবস্থায় তাঁদের রওজা মোবারকে বিশ্রাম করছেন এবং আল্লাহর রিজিক প্রাপ্ত হচ্ছেন (কবর ও জীবিত অবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা, তুলনা করা চলবেনা)। আমাদের জন্যে কালেমা, ”লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্ম্দুর রাসুলুল্লাহ” (অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই, মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল) এটুকুই যথেষ্ট। এটা বিশ্বাস করার জন্যে যে মোহাম্মদ (সাঃ) তাঁর রওজা মোবারকে জীবিত অবস্থায় আছেন। কারন মোহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন আল্লাহর রাসূল। এটা বলা হয়না যে তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল। কারন একজন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ”হচ্ছেন” ব্যবহার করা যায়না।
কোরআন হাদিস থেকে নেয়া নিম্নের আয়াতগুলো প্রমাণ করে নবী (সাঃ) জীবিত।
আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি। (আল-কোরআন সূরা ২১, আয়াত ১০৭)
আল্লাহর রাসূল বলেন, ”শুক্রবারে আমার উপর বেশী বেশী দরূদ ও সালাম পাঠ করো। তখন ফেরেশতাগণ উপস্থিত থাকে। আমার উপর পড়া প্রতিটি দরূদ ও সালামের জন্যে তাঁর (আল্লাহ)সাওয়াব আমার কাছে পৌঁছায় তোমাদের দরূদ পাঠ শেষ করার পূর্বেই।” তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম,এটা কি তাঁর মৃতুøর পরেও প্রযোজ্য হবে। তখন তিনি উত্তরে বললেন, ”আল্লাহ এই জমিনকে নবীদের দেহ নষ্ট করা হারাম করেছেন এবং আল্লাহর নবীরা জীবিত এবং আল্লাহ সে ব্যাবস্থা করেন।” (আল-তিরমিজি)
“আমার ওফাতের পরে আমার রওজা জিয়ারতে আসা মানে আমার জীবিত অবস্থায় আমার সামনে আসা।” (সহীহ হাদিস)
“যখন কেউ হজ্জ্ব পালন করে আমার রওজা জিয়ারতের জন্যে আসবে তা আমার জীবিত অবস্থায় আমার সামনে আসার মতো হবে।” (সহীহ হাদিস)
ভেবে দেখুন
কোরআন তেলাওয়াত কি ইসলাম সম্মত হচ্ছে ?
হামদে বারী তায়ালা কি ইসলাম সম্মত হচ্ছে ?
নাতে রাসূল কি ইসলাম সম্মত হচ্ছে ?
রাসূল (সাঃ) এর জীবনী সম্পর্কে ব্যাখা কি ইসলাম সম্মত হচ্ছে ?
রাসূল (সাঃ) কে দুরূদ পাঠানো কি ইসলাম সম্মত হচ্ছে ?
দোয়া চাওয়া কি ইসলাম সম্মত হচ্ছে ?
খাদ্য বিতরণ কি ইসলাম সম্মত হচ্ছে ?