জিলহজ মাসের নবম দিনটিকে আরাফার দিন বলা হয়। এ দিনে হাজীরা মিনা থেকে আরাফার ময়দানে সমবেত হন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এটিই হজের প্রধান রুকন। হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘আরাফাতে অবস্থান করাই হজ। অর্থাৎ হজের সবচেয়ে বড় রুকন। ফজিলত হিসেবে এ দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। আনাস (রা.) বলেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকের প্রতিটি দিন ১ হাজার দিনের সমতুল্য আর আরাফার ... Read More »
পবিত্র দিন
যিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্ব এবং করণীয় আমলঃ
এই দশটি দিনের আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়ঃ ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যার আমল যিলহজ মাসের এই দশ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? রাসূলুল্লাহ বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর ... Read More »
কুরবানী সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় মাস’য়ালা। (২য় পর্ব)
কুরবানীর পশুর বয়সসীমা মাসআলা : ১৪. উট কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। আর ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কুরবানী করা জায়েয। অবশ্য এক্ষেত্রে কমপক্ষে ... Read More »
কুরবানী সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় মাস’য়ালা। (১ম পর্ব)
কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫ ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি ... Read More »
রোযা রাখার ফযিলত
(১) রোযার পুরস্কার আল্লাহ স্বয়ং নিজে প্রদান করবেনঃ হাদীসে কুদসীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, বনী আদমের সকল আমল তার জন্য, অবশ্য রোযার কথা আলাদা, কেননা রোযা আমার জন্য এবং আমিই এর পুরস্কার দিব।’’ (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮০৫, ৫৫৮৩ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬০) (২) রোযা রাখা গোনাহের কাফফারা স্বরূপ এবং ক্ষমালাভের কারণঃ রাসূল ... Read More »
আল- হাদীসের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা)
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল- হাদীসের আলোকে। মিলাদের ব্যবহারিক-অভিধানিক অর্থ জানা প্রয়োজন। অভিধানে মিলাদ শব্দের অর্থ জন্মের সময় কাল এবং ব্যবহারিক অর্থ হুযুর পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের জন্মের খুশিতে তাঁর মুযেজা, বৈশিষ্ট্য, জীবনী প্রভৃতি বায়াণ করা। অগণিত হাদীস শরীফের মাধ্যমে জানা যায়, রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-গণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ... Read More »
আল কুর’আনের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা)
মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল কুর’আনের আলোকে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিরোধীতাকারী ওহাবী-খারেজী সম্প্রদায়ের নেতাদের দাবী হচ্ছে এটি কুর’আন-হাদীসে নেই, সালফে-সালেহীনদের কেউই তা পালন করেন নি। তাই তা পালন করা হারাম, শিরক ও বিদ’আত। মিলাদুন্নাবী (সাঃ) পালন ইসলামি শারীয়াতের মধ্যেই পড়ে। আমরা এখানে বেশ কয়েকটি লিখনির মাধ্যমে তা কুর’আন, সহীহ হাদীস ও খ্যাতিমান/স্ববানামধন্য আলেমগণের মন্তব্যের দ্বারা তা ... Read More »
ঈদ এর সংজ্ঞা এবং বছরে আমাদের জন্য কয়টি ঈদ
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিরোধী ওহাবী-খারেজী সম্প্রদায়ের নেতারা বলে থাকে ইদুল ফিতর ও ইদুল আযহা ছাড়া আর কোনো ঈদ নেই। তারা নিজেদের এই মনগড়া মন্তব্য প্রমাণের জন্য এই হাদীসটি উল্লেখ করে- “সাহাবী আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলে কারীম সা. যখন মদীনায় আসলেন তখন দেখলেন বছরের দুটি দিনে মদীনাবাসীরা আনন্দ-ফুর্তি করছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন ... Read More »
১০ই মহররমের রোজার গুরুত্ব
১০ ই মুহাররম ৷ রমজানের রোজার পর আশুরার রোজার গুরুত্ব সবচে’ বেশি ৷ পূর্বের নবী-রাসূলগণও এই দিনে রোজা রাখতেন ৷ ইহুদীরাও যেহেতু আশুরার দিনে রোজা রাখতো, তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আশুরার দিন এবং তার আগে অথবা পরের একদিন মোট দু’দিন রোজা রাখাতে বলেছেন, যেন ইহুদীদের সাদৃশ না হয় ৷ আশুরার রোজার ফজিলত সংক্রান্ত একটি হাদীসঃ عن أبي ... Read More »
লাইলাতুম মুবারাকাহ বলতে কোন রাতকে বুঝায় ?
মহা পবিত্র লাইলাতুল বরাত নিয়ে কিছু বাতিল সম্প্রদায়ের মুসলমান নামধারী মুনাফেকেরা প্রায়ই সাধারণ মানুষকে বিব্রান্তিতে ফেলে দেয় | সাধারণ মুসলমানের কোরআন হাদিসের জ্ঞান কম বলেই তারা এতসব বুঝতে পারেনা বা তার প্রতি উত্তর দিতে পারেনা | লাইলাতুল বরাত প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে এরশাদ করেন , ﻧﺎ ﺍﻧﺰﻟﻨﻪ ﻓﻰ ﻟﻴﻠﺔ ﻣﺒﺮﻛﺔ ﺍﻧﺎ ﻛﻨﺎ ﻣﻨﺬﺭﻳﻦ. ﻓﻴﻬﺎ ﻳﻔﺮﻕ ﻛﻞ ﺍﻣﺮ ﺣﻜﻴﻢ. ﺍﻣﺮﺍ ... Read More »
শবে বরাত ও এর শরীয়ত ভিত্তিক প্রমাণ
১৪ই শা’বান দিবাগত রাতটি হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত বা বরাতের রাত্র।কিন্তু অনেকে বলে থাকে কুরআন-হাদীছের কোথাও শবে বরাত শব্দ নেই। শবে বরাত বিরোধীদের এরূপ জিহালতপূর্ণ বক্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, শবে বরাত শব্দ দু’টি যেরূপ কুরআন ও হাদীছ শরীফের কোথাও নেই তদ্রূপ নামায, রোযা , খোদা , ফেরেশতা, পীর ইত্যাদি শব্দ কুরআন ও হাদীছ শরীফের কোথাও নেই। এখন শবে বরাত ... Read More »
মিরাজ রাতের ইতিহাস
পবিত্র মিরাজের সত্যতা এবং ঘটনা সম্পর্কে অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করেন। কিন্তু পবিত্র কোরআন-হাদিসে এর সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এমন সত্য ঘটনাকে উপলব্ধি বা হৃদয়ঙ্গম করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের কর্তব্য। হজরত আবু বকর (রা.) সর্বপ্রথম শবে মিরাজের বাস্তব ঘটনার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। আর এ জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘সিদ্দিকে আকবর’ খেতাব অর্থাৎ মহাসত্যবাদী। কাজেই আমরা হজরত নবী করিম (সা.)-এর মিরাজ সংঘটিত ঘটনাকে আমাদেরও উচিত ... Read More »
পবিত্র শবে-ই-মিরাজের তাৎপর্য
মিরাজ সংঘটিত হয়েছিল মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তাঁর মক্কা জীবনের শেষ দিকে। তিনি জেগে থাকা অবস্থায় সশরীরে ‘বোরাক’ নামের বাহনে মক্কা মুকাররমা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস গিয়েছিলেন এবং সেখানে সব নবী-রাসূলের ইমাম হয়ে নামাজ আদায় করে সশরীরে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। আল কুরআনের পাশাপাশি বহুসংখ্যক বিশুদ্ধ হাদিসেও মিরাজের ঘটনা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। মিরাজ শব্দের অর্থ হলো ঊর্ধ্বালোকে আরোহণ ... Read More »
পবিত্র শবে-বরাতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
সময় খুব কম। তাই সময় নষ্ট করা কোনো ভাবেই ঠিক হবে না।রজব ইতিমধ্যেই চলে আসছে। আগামী মাস শাবান। শাবান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে রয়েছে এক মহিমাম্বিত রাত। যেই রাতকে হাদিসের ভাষায় বলে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা ‘ মধ্য শাবানের রজনী’। সাধারনভাবে আমরা জানি শবে-বরাত হিসেবে। শবে- বরাত খুবই নিকটবর্তী। অনেক দূরে ভাবা কোনো ভাবেই ঠিক হবে না।কারণ বাতিল ফেরকার লোকজন ইতিমধ্যেই ... Read More »
রজব মাসের ফজিলত ও আমলসমূহ
বিশেষ গুরুত্ববহ পবিত্র মাস ‘রজব’। এ মাসের কথা বহু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (স.) বলেছেন, “রজব মাস হচ্ছে মহান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি মাস, ফজিলতের দিক থেকে কোনো মাস এর সমপর্যায়ের নয়। এ মাসে কাফেরদের সঙ্গেও যুদ্ধ করা হারাম। রজব মাস আল্লাহর মাস, শাবান মাস আমার মাস এবং রমজান মাস হচ্ছে আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি ... Read More »