মাযার শব্দটি আরবী, বাংলা অর্থ হল যিয়ারতের স্থান, যে স্থানকে যিয়ারত করা হয়, তার নামই মাযার, মুসলমানের কবর যিয়ারত করা জায়েজ।
সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমান করা যায় মাজার শরীফ বা কবর যিয়ারত করা খাস সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত।
সহীহ হাদীস শরীফের মধ্যে এরশাদ হয়েছে–
عن ابن عمر رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم من زار قبري وجبت له شفاعتي
অর্থ: হযরত ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এরশাদ করেছেন, যে ব্যাক্তি আমার কবর ( রওজা শরীফ) যিয়ারত করলো তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেল।” [জামে ছগীর ১৭১ পৃষ্ঠা, শিফাউস সিকাম ২, ওফাউল ওফা ৩৯৪ পৃষ্ঠা]
এবার আসুন কবর যিয়ারত প্রসঙ্গে হাদীসগুলা লক্ষ্য করি।
বিখ্যাত হাদীস শরীফের কিতাব “মিশকাত শরীফে” কবর যিয়ারত প্রসঙ্গে “যিয়ারাতুল কুবুর” বা কবর যিয়ারত নামক একটা অধ্যায় রচনা করা হয়েছে।
সেখান থেকে কিছু দলীল পেশ করা হলো –
عن بريدة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم كنت نهيتكم عن زيارة القبور فزوروها
অর্থ : “হযরত বুরায়দা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো।”
[মুসলিম শরীফ-১৬৭০]
كنت نهيتكم عن زيارة القبور فزوروها فا نها نزهد في الدنيا وتذكرة الاخرة
অর্থ : হযরত ইবনে মাসুদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো। কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তি কমায় এবং আখিরাতকে স্মরন করায়।” [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৭০০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৩০৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৫৭১, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৬৯]
হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, একদিন নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনা শরীফের কিছু কবরের নিকট গেলেন অতঃপর তাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, সালাম হোক তোমাদের প্রতি হে কবরবাসী।” [তিরমীযি শরীফ, মিশকাত শরীফ ১৬৭৩]
হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে–
হযরত ইবনে নোমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি প্রত্যেক জুমুয়ার দিন নিজ পিতা-মাতা অথবা তাদের মধ্যে একজনের কবর যিয়ারত করবে তাকে মাফ করে দেয়া হবে।” [শুয়াইবিল ঈমান লিল বায়হাক্বী, মিশকাত -১৬৭৬]
উপরোক্ত দলীল দ্বারা যিয়ারত সুন্নাত প্রমান হলো। এখন এই সুন্নতকে যারা পূজা বলে কটাক্ষ করবে নিঃসন্দেহে সেটা কুফরী হবে। কারন সুন্নতকে অবজ্ঞা করা কুফরী।